ফেসবুক পোস্ট কন্টেন্ট রাইটিং স্ট্রাটেজি

ফেসবুক পোস্ট কন্টেন্ট রাইটিং স্ট্রাটেজি

ফেসবুক পোস্ট কন্টেন্ট রাইটিং স্ট্রাটেজি




ফেসবুক বিজনেসে পেজে আমরা প্রোডাক্টের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকম ভাবে কন্টেন্ট লিখি থাকি, যেখানে প্রোডাক্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য থাকে, যেমন কিভাবে অর্ডার করতে হবে, দাম কেমন, ডেলিভারি চার্জ কত, যোগাযোগের ঠিকানা অথবা ফোন নাম্বার ইত্যাদি।

আমরা কি এটা জানি আপনার পোস্টের লেখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ আপনার প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস সেলের জন্য, বিশেষ করে প্রথম ২-৩ লাইন। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস সেল করার জন্য। নিচে একটা স্ট্রাটেজি অথবা টিপস দেয়ার চেস্টা করছি আশা করি কিছুটা হলেও উপকারে আসবে।

প্রথমত

আপনাকে চিন্তা করতে হবে আপনি কি ধরনের কাস্টোমারের জন্য কন্টেন্ট লিখছেন, সেটা কি কোল্ড অডিয়েন্স নাকি ওয়ার্ম অডিয়েন্স। আমরা জানি কোল্ড অডিয়েন্স তারা যারা আপনাকে আগে থেকে চিনে না আর ওয়ার্ম অডিয়েন্স তারা যারা আপনাকে আগে থেকে চিনে, হয় তারা আগে আপনার থেকে আগে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস নিয়েছে অথবা নিবে বলে ঠিক করে রেখেছে।

বুঝতেই পারছেন দুই ধরনের অডিয়েন্স এখানে তাই এক রকম কন্টেন্ট কাজে আসবে না বলা যেতেই পারে।

দ্বিতীয়ত


আপনি ঠিক করলেন কোন ধরনের কাস্টোমারের জন্য কন্টেন্ট লিখবেন, এরপর আপনি লিখুন

কাস্টোমার যদি কোল্ড অডিয়েন্স হয়-

এই ধরনের কাস্টোমার আপনাকে চিনে না, আগে কখনো হয়তো আপনার অ্যাড দেখেনি, দেখলেও তারা সেটা সেভাবে ফলো করে নি ইত্যাদি। তাহলে তাদের জন্য কি ধরনের কন্টেন্ট হতে পারে।

চিন্তা করেন, ধরেন বাটা অথবা এপেক্স কোম্পানি হুট করে একটা অফার দিলো যে প্রতি জুতায় ৪০-৫০% ডিসকাউন্ট অথবা এরকম কিছু, তাহলে তাদের আউটলেটগুলোতেও কি রকম ভীড় হবে আশা করি বুঝতেই পারছেন, আর এরকম কোন কোম্পানি যাদের ব্যাপারে মানুষ খুব ভালো কিছু জানে না তারা যদি এরকম কোন অফার দেয় আমার মনে হয় না তারা বাটা অথবা এপেক্সের মত সাড়া পাবে, তার কারন একটাই।

আপনি যখন অনলাইনে বিজনেস করছেন প্রথমে আপনাকে আপনার ক্রেতার বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জন করতে হবে, প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের মানে কেমন, কতদিন টিকবে, কি কি ম্যাটারিয়াল দিয়ে বানানো ইত্যাদি, এটা নির্ভর করবে আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের উপর ভিত্তি করে, কিন্তু মূল কথা একটাই যে আপনি যদি কোল্ড অডিয়েন্সের কাছে আপনার অ্যাড পৌছাতে চান তাহলে আপনাকে ডিসকাউন্ট, অফার, ইত্যাদিতে কম গিয়ে পণ্যের গুনগত মান তুলে ধরতে হবে।

মার্কেটে ফেসবুক মার্কেটিং, অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ব্র্যান্ডিং ইত্যাদি বিষয়ের উপর আমার লেখা বই আছে, আগ্রহি হলে আমাকে ইনবক্স করতে পারেন আমি অর্ডার করার লিঙ্ক দিয়ে দিবো।

কাস্টোমার যদি ওয়ার্ম অডিয়েন্স হয়


একজন ওয়ার্ম অডিয়েন্স আপনাকে চিনে, তারা আপনার কাছ থেকে আগে প্রোডাক্ট নিয়েছে, তারা জানে আপনার প্রোডাক্ট ভালো, সার্ভিস ভালো, যা অনলাইনে দেখিয়েছেন সেটাই দিয়েছেন, কাস্টোমার কেয়ার সার্ভিস চমৎকার, তখন কিন্তু আপনি আপনার পুরানো কাস্টোমারদের জন্য একটা ডিসকাউন্ট অথবা অফার দিতেই পারেন, তারা আপনার সার্ভিসে খুশি, এখন আপনি যখন কোন ডিসকাউন্ট অথবা অফার দিবেন তারা তখন চিন্তা করবে এদের প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের মান তো ভালই আবার সাথে কিছু ডিস্কাউন্টও পেয়ে যাচ্ছি, এটাই তখন আপনার মেইন পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু একদম প্রথমেই ডিসকাউন্ট অথবা অফারে চলে গেলে এরকম চিন্তা একজন করতেই পারে, এরা কারা? এদের তো চিনি না? এরা আবার ৪০-৫০% ডিস্কাউন্টে প্রোডাক্ট সেল করছে, মনে হয় সেল হয় না এ জন্য ডিস্কাউন্ট দিয়ে সেল করছে।

এটা হতে পারে আপনার কন্টেন্ট রাইটিং এর একটা স্ট্রাটেজি। কাজ করতে পারে চমৎকার ভাবে।

কোল্ড অডিয়েন্স নিয়ে অ্যাড কোনগুলা- 


যে অ্যাডগুলাতে আমরা মূলত ডিটেল টার্গেটিং থেকে বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে অ্যাড দিয়ে থাকি, ইন্টারেস্ট, বিহেবিহার, ডেমোগ্রাফিক ইত্যাদি ব্যাবহার করে।

ওয়ার্ম অডিয়েন্স নিয়ে কোন অ্যাডগুলো


আগে বলা হয়েছে ওয়ার্ম অডিয়েন্স কারা, যারা আপনাকে আগে থেকে চিনে তারা, তাহলে আগে থেকে যারা আপনাকে চিনে তাদের কিভাবে বের করবেন, যারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে তারা হতে পারে, পিক্সেলের মাধ্যমে তাদের ট্র্যাক করা যায় আপনারা জানেন, আবার আপনার ফেসবুক পেজ আগে যারা ভিজিট করেছে, লাইক, কমেন্ট শেয়ার, পোস্ট সেভ ইত্যাদি করেছে তারাও আপনার ওয়ার্ম অডিয়েন্স, অথবা আপনার পেজের ভিডিও ভিউজের ভিউয়ার থেকেও আপনি অডিয়েন্স বানিয়ে নিতে পারবেন যারা আপনাকে আগে থেকে চিনেছে ভিডিও দেখার মাধ্যমে, আপনার অফলাইন কাস্টোমারের কোন ডাটাবেজ যদি থাকে যেমন ফোন নাম্বার ইত্যাদি সেগুলি দিয়েও আপনি কাস্টোম অডিয়েন্স বানিয়ে অ্যাড দিতে পারবেন, এরা সবাই ওয়ার্ম অডিয়েন্সের ক্যাটাগরিতে পরবে।

Previous Post
Next Post

post written by:

0 Comments: