একজন উদ্যোক্তার জন্য অত্যন্ত জরুরি তার মনোবল শক্ত রেখে আত্মবিশ্বাস দৃঢ় করা।
নিজের প্রতি সেল্ফ কনফিডেন্স মেক করা সম্পূর্ণ নিজের মানসিকতা ও নিজের রুটিন এর উপর নির্ভর করে। কতটা মনোযোগ ও চেষ্টার সাথে সভুর নিয়ে কাজ করা হচ্ছে তার উপর ডিপেন্ড করে।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করার জন্য আজকাল বিভিন্ন রকম বই, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা নানারকম উপায় সম্পর্কিত পরামর্শ দান ইত্যাদির ব্যবস্থা আছে এবং অনেকেই এসব সুযোগ গ্রহণ করে থাকেন।
এবার আসছি “আত্মবিশ্বাস” কাকে বলে? সাধারণ অর্থে আমি নিজে যদি নিজেকে বিশ্বাস করি, অর্থাত্ আমি যা ভাবছি বা করছি সেটা সঠিক কি না , সেটা যদি যাচাই করে নিতে পারি, তাহলে আমি বুঝতে পারবো যে আমি ঠিক রাস্তায় হাটছি কি না এবং প্রয়োজনে নিজেকে সংশোধন করে নিতে পারবো।
নিজের সম্পর্কে নিজের কাছে স্পষ্ট থাকার নামই আত্মবিশ্বাস। “আত্মবিশ্বাস” আমাদের প্রাত্যহিক জীবন যাপন এবং কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তৈরী হয় এবং সময়ের সাথে সাথে তার গভীরতা বাড়ে।
অনেকেই বলে থাকেন নির্দিষ্ট পোশাক পরিচ্ছদের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস তৈরী হয়। এ বিষয়ে প্রশ্ন আসে যে যদি পোশাক পরিচ্ছদের দ্বারা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলা যায়, তাহলে সেই পোশাক পরিচ্ছদ আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য পরিধান করছি, এ কথাটা কি মন থেকে বাদ দেয়া যাবে?
যদি না দেয়া যায়, তাহলে এই কথাটা ও মনে আসবে যে আমার আত্মবিশ্বাস এর ঘাটতি আছে এবং সেটা পূরণ করার জন্য আমার এ ধরনের পোশাক পরিচ্ছদের প্রয়োজন আছে।
“স্মার্টনেস” (বুদ্ধিমান, চটপটে বা তীক্ষ্ণ, উজ্জ্বল) এবং “আত্মবিশ্বাস” এর মধ্যে পার্থক্য আছে।
“আত্মবিশ্বাস” নিজের অগোচরেই তৈরী হয়। এটাকে যত বেশি জোর করে তৈরী করা বা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হবে, ততো বেশি সেটা দুর্বল হয়ে পড়বে।
0 Comments: