অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেটে ঘোষণা করেছেন যে অক্টোবর থেকে ভারতের বিভিন্ন অংশে ডিজেলের উপর 2 টাকা কর আরোপ করা হবে। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণার প্রভাব পড়তে পারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে পেট্রোলের দামে। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, ভীড়ের কারণে দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সরকার হঠাৎ করে এত তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিল কেন? আসলে দেশে বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোই কেন্দ্রীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য।
আর একটি প্রশ্ন, কেন বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র? এই প্রেক্ষাপটে পেট্রোল-ডিজেল গাড়ি থেকে নির্গমনের মাত্রা মাত্রাতিরিক্ত। যখন গাড়িগুলো বিকল্প জ্বালানিতে চলবে, তখন নির্গমনের মাত্রা অনেক কম হবে এবং পরিবেশ হয়ে উঠবে সতেজ। এছাড়া পেট্রোল ও ডিজেলের চাহিদা কমলে জ্বালানি আমদানিও কমাতে হবে। ফলে রাজকোষের ব্যয়ও কম হবে।
বিকল্প জ্বালানী প্রধানত ইথানল এবং মিথানল উল্লেখ করে। পেট্রোল ও ডিজেলে নির্দিষ্ট হারে ইথানল মেশাতে চায় কেন্দ্র। এতে স্বাভাবিকভাবেই জ্বালানির চাহিদা কমে যাবে। সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি ইতিমধ্যেই দেশের অটোমোবাইল সংস্থাগুলিকে ইঞ্জিন বা ফ্লেক্স-ফুয়েল ইঞ্জিন যুক্ত গাড়ি নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন যা এই জাতীয় জ্বালানিতে চলতে সক্ষম। বর্তমানে দেশে পেট্রোলে 8.5% ইথানল যোগ করা যেতে পারে। মোদি সরকার এই বছর 10 শতাংশ এবং 2025 সালের মধ্যে 20 শতাংশের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
আর তাই কেন্দ্রের এই কড়া পদক্ষেপ। এ পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের পরিচ্ছন্নতা, যেহেতু আখ ও ধানের খড় থেকে ইথানল তৈরি করা হয়, তাই এর উৎপাদনের ফলে দেশের কৃষকদের আয় বাড়বে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “সরকারের মূল লক্ষ্য হল জ্বালানি একত্রিত করা। বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে, 1 অক্টোবর, 2022 থেকে মিশ্র জ্বালানির ওপর প্রতি লিটারে 2 টাকা কর ধার্য করা হবে।”
0 Comments: