১. অবশ্যই পেইজের লাইক, কমেন্ট দেখে পণ্য ক্রয় করবেন। যেসব পেইজ ২/৩ দিন প্রতারণা করে বন্ধ হয়ে আবার নতুন পেইজ খুলে তাদের এনগেজমেন্ট কম থাকে। (কাল একটা অভিযোগ পেয়ে দেখলাম- এরকম একটি পেইজ কিন্তু কাস্টমার সেটি খেয়াল করেনি।)
২. পেইজ ইনফরমেশন বিস্তারিত আছে কিনা দেখে নিন। যেমন ঠিকানা, গুগল ম্যাপ অন্যান্য তথ্য। ফ্রড পেইজগুলোতে সব ইনফরমেশন খুব কমই থাকে।
৩. যেসব পেইজে প্রচুর নেগেটিভ রিভিউ আসে সেগুলো থেকে ক্রয় করা থেকে বিরত থাকুন। (আপনি ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করলে ৫ দিনে সাড়া পাবেন) কিন্তু প্রতারক হলেতো তাকে খুঁজে বের করাই কঠিন হয়ে যাবে।
৪. যখনি বলবে এসএ পরিবহন থেকে পণ্য নিতে হবে। তখনি বুঝবেন ৮০% সম্ভাবনা আছে প্রতারণার। কারণ এস এ পরিবহনে টাকা দিয়ে পণ্য গ্রহণ করার আগে খুলে দেখা যায়না বলে প্রতারকেরা এসএ পরিবহন ব্যবহার করে।
৫. পন্য অনুসারে যদি তুলনামূলক দাম কম হয়। তাহলে বুঝবেন যে এখানে কোনো ঘাপলা আছে।
৬. শুধুমাত্র পন্যের ছবি আছে। প্রতিষ্ঠানের লাইভ বা অন্য কোনো ধরনের পোস্ট নেই, ইভেন্ট বা একটিভিটি নেই। এ ধরনের পেইজ থেকে কেনার ব্যাপারে একবার ভাববেন।
৭. বিকাশ, রকেট বা নগদ পার্সোনাল একাউন্ট এর পরিবর্তে মার্চেন্ট একাউন্টে বা ব্যাংকে টাকা দিতে চাইবেন। নিতে না চাইলে আপনি তাকে সন্দেহের তালিকায় রাখতে পারেন।
৮. ট্রেড লাইসেন্স দেখতে চাইতে পারেন। দেখতে চাইতে পারেন এনআইডি কার্ড বা মালিকের ছবি। প্রয়োজনে ভিডিও কলে পণ্যটি দেখতে চাইতে পারেন যাতে লোকের ছবি দেখা যায়। তবে প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা গেলে আর কোনো দেখতে চাওয়ার দরকার নেই। সেক্ষেত্রে না কেনাই ভাল।
৯. আরো ভাল হয় ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কেনা বা ওয়েবসাইট আছে কিনা তা দেখে নেয়া।
১০. সবচেয়ে ভাল হয় ই-ক্যাবের মেম্বারশিপ আছে কিনা তা দেখে নিয়ে পণ্য ক্রয় করা।
ই-ক্যাব মেম্বার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারণার শিকার হলে আপনি http://complaint.e-cab.net/ এ অভিযোগ করতে পারেন।
সবাইকে এই সময়ে সতর্ক থেকে অনলাইনে কেনাকাটা করার অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ।
0 Comments: