আইওয়াচ হতো সম্ভবত সবচেয়ে মানানসই ও সঠিক নাম অ্যাপলের এই পরিধেয় পণ্যের জন্য। এমনকি অ্যাপল আগেভাগেই এই নামটি রেজিস্ট্রশন সম্পন্ন করে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। তবে বিপত্তি বাঁধে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। আইওয়াচ নামটি অপর একটি কোম্পানি রেজিস্টেশন করে ফেলে অ্যাপলের পূর্বেই। কুপারটিনো ভিত্তিক বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল পরিধেয় পণ্যের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে তাই অ্যাপল ওয়াচ নামে।
অ্যাপল ওয়াচ
শারীরিক অনুশীলনে অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহার করা যাবে পরিমাপকের ভূমিকায়। এছাড়া, ফোনে নতুন মেসেজ কিংবা নোটিফিকেশন আগমনবার্তা জানা যাবে এই হাইটেক ওয়াচে। এই ঘড়িটির পাশে আছে একটি ঘূর্ণায়মান ডায়াল, যেমটি থাকে প্রচলিত ঘড়িতে সময় সংশোধনের জন্য। অ্যাপল ওয়াচে এই ডায়াল ঘুুরিয়ে ঘুরিয়ে অ্যাপসে জুম ইন ও জুম আউট করা যাবে অথবা উপর-নিচে বিভিন্ন অ্যাপসে যাওয়া যাবে। এর অর্থ ঘড়িটির ডিসপ্লে কখনোই ঢাকা পড়বে না ব্যবহারের সময়। আইফোন ৫ কিংবা এ সিরিজের পরবর্তী ফোনের সাথে সমান্তরালে ব্যাবহার করা যাবে অ্যাপল ওয়াচ।
ঘড়িগুলির উপরিভাগ দেখতে নানা রঙে, নানা রকম করা হয়েছে। ফলে প্রত্যেকেই তার পছন্দমতো ডিজাইনের ওয়াচ বেছে নিতে পারবেন। আপনার যদি সময় দেখতে ইচ্ছে করে, কিম্বা জানতে ইচ্ছে করে আবহাওয়ার খবরাদি আপনি ডায়াল ঘুরিয়েই তা পেয়ে যাবেন। আপনি চাইলে এর উপরে মিকি মাউসের ছবি যেমন রাখতে পারেন, তেমনি পৃথিবীর কোন জায়গাটিতে আপনার অবস্থান সেটাও দেখতে পারবেন। কিম্বা দেখতে পারবেন আপনার পছন্দ মতো অন্য কিছু।
তিন ধরণের ঘড়ি বাজারে আনবে অ্যাপেল - অ্যাপেল ওয়াচ, অ্যাপেল ওয়াচ স্পোর্ট ও অ্যাপেল ওয়াচ এডিশন। মহিলা ও পুরুষদের জন্যে প্রতিটি মডেল পাওয়া যাবে দুটি সাইজে । প্রতিটির সাথে থাকবে ৬টি ভিন্ন ভিন্ন স্ট্র্যাপ। ব্যবহারকারী তার পছন্দ ও সময় অনুযায়ী সেগুলি বদলে নিয়ে পরতে পারবেন। অ্যাপেল ওয়াচ পেতে আপনাকে ২০১৫ এর শুরু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে কোন মার্কেটে তা প্রথম পাওয়া যাবে সে তথ্য এখনো অজানা। আর এর দাম? প্রাথমিক মডেলগুলির দাম শুরু হবে ৩৪৯ ডলার থেকে।
0 Comments: